Wifaq Result 2024 Check Online

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের রেজাল্ট সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জানতে হবে যে আসলে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ কি?  তো চলুন আগে এদের ইতিহাসের সূচনা থেকেই জেনে নেয়া যাক?  তবে একটা কথা বলতে চাই আপনি যদি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চান তবে আমি বলবো যে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন।

বেফাকুল মাসারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ আসলে কি?  

বেফাক হলো বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাসমূহের  সবচেয়ে বড় শিক্ষাবোর্ড, যা বাংলাদেশ কওমী শিক্ষা বোর্ড নামেও পরিচিত।   বেফাক ছাড়াও বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের আরো ৫টি শিক্ষা বোর্ড আছে।তবে সর্ব্ব বৃহৎ হলো বেফাক। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন ৮ টি বোর্ড রয়েছে ঠিক তেমনি বেফাকও হলো একটা বোর্ড। অর্থাৎ কওমি মাদ্রাসাসমূহের সিংহভাগই এই বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত।  আর বেফাক তার নিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, উন্নয়ন, স্তরভেদে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সনদ প্রদানের কাজ করে। ২০১২ সালের  রিপোর্ট অনুযায়ী,বেফাকের অধীনে সারাদেশে ২০ হাজারেরও অধিক কওমি মাদরাসা রয়েছে। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বেফাকের অফিস ছিল জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ, ঢাকা। ১৯৯৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ছিল নয়া পল্টন, ঢাকা-১০০০। সবশেষে ২০০৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা–১২০৪ এর যাত্রাবাড়ি, কাজলায় ( ভাঙ্গা প্রেস ) জায়গা ক্রয় করে বেফাকের বর্তমান নিজস্ব  কার্যালয় স্থাপন করা হয়।

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর ইতিহাস 

২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বেফাকের সভাপতি শাহ আহমদ শফী মৃত্যুবরণ করলে পদটি শূন্য হয়ে যায়। এরপরেই অভ্যন্তরীণ কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটা  বিতর্ক শুরু হয়। ফলশ্রুতিতে ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর মজলিসে আমেলার ১২৫ সদস্যের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে সভাপতি পদে মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নূর হুসাইন কাসেমী এবং মহাসচিব পদে মাহফুজুল হক নিয়োগ লাভ করে।আর তারাই মূলত বর্তমানে বেফাকের পরিচালক। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর রূপরেখা

মাদ্রাসা জীবন শুরু হওয়ার পরে থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত দ্বীন-বিজ্ঞান বিষয়  ও বাকি ৮ বছর অর্থাৎ মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যন্ত শুধু ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হয় এখনে এবং এর পাশাপাশি সাধারণ বিষয়ের উপরে শিক্ষা দেয়া হয়। 

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বেফাক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। 

প্রথম পর্যায়: এ পর্যায়ে রয়েছে আবার প্রধান দু’টি স্তর।

প্রথম স্তরের মধ্যে অন্যতম হলো প্রাথমিক শিক্ষা। কুরআন তিলাওয়াত ও ইসলামিয়াতসহ গণিত, বাংলা, ইংরেজি এ সমাজ বিজ্ঞান প্রভৃতি পড়ানো হয় মূলত  ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত । একে বলা হয় আল মারহালাতুল ইবতিদাইয়্যাহ বা কওমী প্রাইমারি/প্রাইমারি মাদরাসা। দ্বিতীয় স্তরের শিক্ষার মধ্যে অন্যতম হলো  সাধারণ শিক্ষা সহ ইসলামিক শিক্ষা। অর্থাৎ আরবি ভাষা, আরবি ব্যাকরণ ও ফিকাহশাস্ত্র এদের সাথে আবার সাধারণ বিষয়সমূহ হিসেবে রয়েছে  গণিত, বাংলা, ইংরেজি ও সমাজ বিজ্ঞান। একে বলা হয় মারহালাতুল মুতাওয়াসসিতাহ। এর মধ্যে রয়েছেঃ- ৩ বছর। অর্থাৎ: ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি।আর এভাবেই প্রথম ধাপের সমাপ্তি ঘটে তৃতীয় পর্যায়: এ পর্যায়ে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক ডিপ্লোমা ও গবেষণামূলক শিক্ষা কোর্স। যথা: হাদীস, তাফসির, ফিকহ, ফতওয়া, তাজবিদ, আরবিসাহিত্য, বাংলা সাহিত্য, ইংরেজি, উর্দূ ও ফারসি ভাষা, ইসলামের ইতিহাস, ও সীরাত, ইলমুল কালাম, ইসলামি দর্শন, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পৌর বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ের গবেষণামূলক শিক্ষা।

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ হলো  কওমী মাদ্রাসার বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বড় শিক্ষা বোর্ড। আর এর অধিভুক্ত রয়েছে প্রায় ২০ হাজারের উপরে কওমি মাদ্রাসা। তাই সেদিক থেকে বলা যায় কওমি মাদ্রাসার মধ্যে বেফাক অন্যতম ও এর শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও অনেক বেশি। প্রিয় ভিউয়ারস আপনার যদি উক্ত পোস্ট টি ভালো লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। আর  এমন সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল আর ইন্টারেস্টিং কন্টেন্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *